হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মদিনা জীবন।

রাসূল (সাঃ) এর মাদানী জীবন সম্পর্কে আজ আলোচনা করব৷ তাই চলুন দেরি না করে রাসূল (সাঃ)এর মাদানী জীবনে, প্রতিটি ধাপে ধাপে পদক্ষেপ এবং মদিনা সনদের ধারাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর মদিনার জীবন কাহিনী

আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ এগুলো আমাদের জীবনে চলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন৷ এবং রাসুল সাঃ এর উপরে মাদানি জীবনে যে সমস্ত কুরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে তার সবগুলোই আমাদের ফরজ৷ নিম্নে আলোচনা করা৷ 

ভূমিকা: রাসূল (সাঃ) এর মাদানী জীবন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬২২ খ্রিস্টাব্দে ২৪শে সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার মদিনার কুবা পল্লীতে এসে পৌঁছেন৷ তার সাথে ছিলেন তার বিশ্বস্ত ও আনুগত্যশীল সাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু৷ নবুয়াতের ২৩ বছরের শেষের ১০ বছর হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রিয় জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে মদীনায় অতিবাহিত করেন৷ 

আরো পড়ুনঃ ইউসুফ (আঃ)এর জীবন কাহিনী

তিনি মদিনায় একটি ইসলাম কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন৷ নবগঠিত মদিনা রাষ্ট্রের সর্বাধিক নায়ক ছিলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম৷ তিনি মূলত মাদানী জীবনে ইকামতে দ্বীনের সংগ্রামে নিজেকে নিয়োগ করেন৷

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মাদানী জীবনকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে৷ সকল ঐতিহাসিকগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো৷

১. প্রথম হিজরী মোতাবেক ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর সোমবার হতে ষষ্ঠ হিজরীতে অনুষ্ঠিত হুদাইবিয়ার সন্ধি পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর৷ এ সময় কাফের ও মুনাফিকদের মাধ্যমে ভিতরে ও বাহিরে যুদ্ধ সমূহ সংঘটিত হয়৷ ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বমোট ছোট-বড় ৫০ টি যুদ্ধ ও অভিযান পরিলক্ষিত হয়৷ 

২. মক্কার কাফের, মুশরিকদের সাথে সন্ধি চলাকালীন সময়৷ যার মেয়াদকাল ছিল ষষ্ঠ হিজরি হতে অষ্টম হিজরীর রমাদান মাসে মক্কা বিজয় পর্যন্ত প্রায় দুই বছর৷ এই সময়ে ইহুদিদের সাথে ২২ টি ছোট বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়৷

৩. অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের পর হতে ১১ হিজরীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু পর্যন্ত প্রায় তিন বছর৷ এ সময় লোকেরা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে৷ মদিনার চারিদিক থেকে প্রতিনিধি দল নিয়ে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহণ করেন৷

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুত প্রেরণ করে বিদেশি রাজন্যবর্গের কাছে দাওয়াত পত্র প্রেরণ করেন৷ এ সময় লাত, উযযা, মানাত, হবল প্রভৃতি প্রসিদ্ধ মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়৷ 

এ সময় হুনাইনের যুদ্ধ এবং রোম সম্রাট হেরাক্লিয়াসের বিরুদ্ধে তাবুক যুদ্ধে গমন ও সর্বশেষ সারিয়া ওসামা প্রেরণ৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাদানী জীবনে ১০ বছরে প্রায় ৯০ টি ছোট বড় যুদ্ধ ও অভিযান পরিচালিত হয়৷

অবশেষে সকল বাধা অতিক্রম করে ইসলাম রাষ্ট্রীয় রূপ গ্রহণ করে৷ এবং তৎকালীন বিশ্বের পরাশক্তি সমূহকে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার মত শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যায়৷ 

মাক্কী ও মাদানী জীবনের প্রধান কিছু পার্থক্য সমূহ

মাক্কী ও মাদানী জীবনের মধ্যে প্রধান কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম মক্কায় হলেও সেখানে মুসলমানগণ ছিলেন দুনিয়াবী শক্তির দিক দিয়ে দুর্বল ও নির্যাতিত৷ 

পক্ষান্তরে মাদানী জীবনের প্রথম থেকেই নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব ছিল রসূল (সাঃ) ও মুসলমানদের  হাতে৷ এখানে বিরোধীরা স্থানীয় হলেও তারা ছিল নিষ্প্রভ৷ ফলে মদিনার অনুকূল সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ ইসলামকে পূর্ণতা দান করে৷ 

সে কারণেই ইসলামের যাবতীয় হালাল হারাম ও বিধি-বিধান একে একে মাদানী জীবনে অবতীর্ণ হয় এবং বাস্তবায়িত হয়৷ বিদায় হজের সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে পূর্ণতার সনদ হিসেবে কুরআনের আয়াত নাজিল হয়, আল্লাহ তাআলা বলেন-

আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দিনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার অনুগ্রহ সম্পন্ন করে দিলাম ও তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম৷  (সূরা মায়েদাহ আয়াত- ৩)

বিদায় হজের সময় দশম হিজরীর ৯ই জিলহজ শুক্রবার মক্কার আরাফার ময়দানে অবস্থান কালীন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়৷ এর মাত্র ৮৩ দিন পর ১১ই হিজরীর পহেলা রবিউল আউয়াল সোমবারে মদিনায় রাসুল (সাঃ) ইন্তিকাল করেন ৷

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অত্র আয়াত  অবতীর্ণের পর বিধি-বিধান সম্পর্কিত আর কোন আয়াত অবতীর্ণ হয়নি৷ তবে উৎসাহ ও ভীতি প্রদর্শনমূলক কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ হয়৷


মাদানী জীবনে রাসুল (সাঃ) যুদ্ধ ও শান্তিনীতি

রাসূল (সাঃ) জীবদ্দশায় অনেকগুলি ছোট বড় যুদ্ধ ও অভিযান তিনি পরিচালনা করেন৷ নিম্নে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

১. বদরের যুদ্ধঃ মাওলানা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংবাদে মক্কার কাফেরেরা নবগঠিত মদিনা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে৷ ফলে ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক তৃতীয় হিজরের ১৭ই রমজান শুক্রবার বদর প্রান্তরে কাফেরদের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়৷ এই যুদ্ধে মুসলমানরা আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করেন৷

২. উহুদের যুদ্ধঃ ঐতিহাসিক hittory বলেন, বদর যুদ্ধের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মক্কার কুরাইশরা তিন হাজার সৈন্য বাহিনী নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ অতঃপর ৬২৫ খ্রিস্টাব্দে উহুদ নামক স্থানে উভয় দলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷ এ যুদ্ধে মুসলমানগণ সাময়িকভাবে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়৷ এ যুদ্ধে কাফেরেরা বিজয় লাভ করেও তেমন লাভবান হতে পারেনি৷

৩. হুদায়বিয়ার সন্ধিঃ ৬২৮ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ষষ্ঠ হিজরীতে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ সাহাবী নিয়ে পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফের উদ্দেশ্যে মক্কার অভিমুখে যাত্রা করেন৷ অতঃপর কুরাইশদের যুদ্ধ প্রস্তুতির সংবাদে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়া নামক স্থানে অবস্থান করেন৷ এই স্থানেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷

৪. খন্দকের যুদ্ধঃ মদিনার নবগঠিত ইসলামী রাষ্ট্র ধ্বংস করার জন্য মক্কার কাফের, আরব বেদুইন, মুনাফিক এবং মদিনার ইহুদিদের সম্মিলিত দশ হাজার সৈন্য নিয়ে ৬২৭ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক পঞ্চম হিজরীতে মদিনা আক্রমণ করে৷ তারা মুসলমানদের কাছে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হয়৷ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিকে পরিখা খনন করে মদিনা শহরকে শত্রুদের আগমন থেকে প্রতিহত করেন৷

৫. তাবুক অভিযানঃ নবম হিজরীর রজব মাসে রোজ বৃহস্পতিবারে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস মদিনার সীমান্তে সৈন্য সমাবিত করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪০ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে তাবুক স্থানে উপনীত হন৷ মুসলিমদের এ বিশাল আয়োজন দেখে রোমানরা শঙ্কিত হয়ে পিছু হোটে যায়৷ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশ কিছুদিন তাবুক নামক স্থানে অবস্থান করে মদিনায় ফিরে আসেন৷

৬. বিদায় হজ্জঃ ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে দশম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসংখ্য মুসলমানদেরকে নিয়ে বিদায় হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার অভিমুখে যাত্রা করেন৷ মক্কার আরাফার ময়দানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি এক হৃদয়বিদারক ভাষণ প্রদান করেন৷ যা আজ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত৷

৭. রাসূল (সাঃ) ইন্তিকালঃ তিনি গোটা বিশ্ববাসীকে পরিপূর্ণ একটি ইসলামী রাষ্ট্র উপহার দিয়ে একাদশ হিজরির ১২ই রবিউল আউয়াল রোজ সোমবারে তার পবিত্র আত্মা এই বিশ্ব ভুবন ছেড়ে আল্লাহর সান্নিধ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে৷

রসুল (সাঃ) কর্তৃক রচিত মদিনা সনদের ধারাসমূহ

এই সনদটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে লিপিবদ্ধ করেছেন৷ মদিনার সনদদের মোট ৪৭ মতান্তরে ৫৩ টি ধারা রয়েছে৷ উক্ত সনদের প্রায় প্রত্যেকটি ধারায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপনের জন্য রচিত৷ 

এর প্রথম দশটি ধারায় বলা হয়েছে৷ মহাজির, বনু হারিস, বনু আওস, বনু জুশাম, বনু সাইদা, বনু নবীত, বনু আউফ, বনু নাজ্জার, ও বনু আমর মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত নিয়মনীতি এবং ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে মুক্তিপণের মাধ্যমে বন্দীদের মুক্ত করবে৷ 

১১ থেকে ২০ ধারায় মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কিত আইন পাস হয়৷ ২১ থেকে ২৬ ধারায় বর্ণিত আছে হত্যাকারীর শাস্তি, কোন মুসলমান অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দিলে তার শাস্তি, কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তার মীমাংস পদ্ধতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ক আইনি বিল পাস হয়৷ 

২৭ থেকে ৩৬ ধারায় উল্লেখিত হয়৷ পরবর্তী ধারা সমূহের যুদ্ধনীতি নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ, নিজ নিজ ব্যয় নির্বাহ, নাগরিকদের অধিকার, গোত্র সম্পর্কিত বিধি-বিধান, আশ্রয়দাতা ও আশ্রয় গ্রহণকারী উভয়ের উত্তম সম্পর্ক থাকা৷ 

নারীর আশ্রয়, সনদের স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দিলে করণীয়, কুরাইশদের ব্যাপারে ব্যবস্থা, মদিনার উপর আতঙ্কিত আক্রমণ হলে করণীয় ইত্যাদি সংসদীয় বিল পাস হয়৷নিম্নে মদিনা সনদসমূহের বেশ কয়েকটি ধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

১. মদিনা সনদের স্বাক্ষরকারী মুসলিমগণ ও ইহুদি খ্রিস্টান মদিনা রাষ্ট্রের সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে এবং একটি জাতি গঠন করবে৷

২. মদিনা সনদ অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবে৷

৩. মদিনা রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বাধীনতা বজায় থাকবে সকল পেশার মানুষজন নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে৷

৪. মদিনা সনদের স্বাক্ষরকারী কোন ব্যক্তি মদিনার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারবে না৷ এবং ষড়যন্ত্র ও বহির শত্রুর সঙ্গে আতাত করতে পারবে না৷

৫. সনদে স্বাক্ষরকারী কোন সম্প্রদায়কে আক্রমণ করলে সকল সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হয়ে শক্তির সাহায্য কামনা করতে হবে

৬.  আজ মদিনাকে পবিত্র বলে ঘোষণা করা হলো, এবং রক্তপাত  হত্যা কান্ড- ইত্যাদির সকল অপরাধ মূলক কাজ করা নিষিদ্ধ করা৷ মদিনাকে পবিত্র বলে ঘোষণা দেয়া৷ এবং এবং হত্যা কান্ড রক্তপাত সহ সফল অপরাধমূলক চিরতরে নিষিদ্ধ৷             

৭. বনু আউফ বনু আন নাবিত, বানু আউস, বনু আমোর ইত্যাদি মূলনীতি অনুসরণ করবে৷

৮. বিশ্বাসী মুসলমানেরা তাদের যুদ্ধবন্দীদের মুক্ত করার জন্য মুক্তি পণের ব্যবস্থা করবে৷ দায়িত্ব শুধু সংশ্লিষ্ট পরিবারের উপর নয় বরং এর দায়িত্ব সামগ্রিকভাবে উম্মাহ বা জাতির উপরে৷

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url