খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। যারা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি আজ বেস্ট হতে চলেছে। তাই সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
খেজুরের অপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যারা এ বিষয়ে জানতে ইচ্ছুক। তারা আজ সঠিক জায়গায় এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধারাবাহিকভাবে পড়ে যাওয়ার অনুরোধ রইল। তুমি শুধু আমার জন্য
পোস্ট সূচীপত্রঃ খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা .
ভূমিকা
খেজুর মানুষের খাদ্য হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই এর পরিচিতি রয়েছে। এটি
মধ্যপ্রাচ্যের একটি ফল, যা দারুন সুস্বাদু। এই ফলটি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং এটি
পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে রয়েছে মানব দেহের জন্য নানান উপকারী। যেমন, এতে রয়েছে
ভিটামিন, আয়রন, খনিজ পদার্থ, এন্টি অক্সিডেন্ট ও ফসফরাস সহ আরো নানান উপকারিতা।
এই খেজুর পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে নানান সমস্যা হতে পারে।
খেজুরের উপকারিতা
১. রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
আয়রন বা লৌহ। যা মানব দেহের বিভিন্ন চাহিদা ও ভিটামিন দূর করে, রক্তের
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে দারুনভাবে ভূমিকা পালন করে। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
পায় এবং সমস্ত শরীরে অক্সিজেন বহন করে থাকে।
২. ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়
খেজুর এমন একটি ফল, এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট। এবং আরো রয়েছে ভিটামিন সি। এই ফল নিয়মিত সেবন করলে
ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বক সুন্দর, উজ্জ্বল ও মসৃণ করে
তুলে। তাই প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকায় এই ফলটি যুক্ত করা খুবই প্রয়োজন।
৩. শরীরে শক্তি ও পেশি মজবুত করে
খেজুরে আছে গ্লুকোজ, যা শরীরে
দ্বিগুণ শক্তি প্রদান করে থাকে। এছাড়াও আরো রয়েছে সুক্রোজ ও প্রাকৃতিক চিনি।
এইগুলো মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এবং পেশি মজবুত করতে এই ফলে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে প্রোটিন। যা শরীর শক্তিশালী ও পেশি মজবুত করতে দারুন সহায়ক হয়ে
থাকে।
৪. হাড় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ
উপাদান। সেগুলো হলো, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই খনিজ
উপাদানগুলো মানব দেহের হাড় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। এবং হাড়ের যেকোনো
সমস্যা দূর করতে দারুন সহায়ক।
৫. পরিপাকতন্ত্র বা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
নিয়মিত খেজুর খেলে
পরিপাকতন্ত্র বা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার। পেটের যাবতীয় সমস্যা এবং কোষ্টকাঠিন্যের মতো কঠিন রোগ দূর করে।
শারীরিকভাবে অনেক প্রশান্তি মিলে।
৬. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার
কারণে, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক হয়। এই ফলটি মানব দেহের
খারাপ কোলেস্টেরল বের করে আনে, এবং হৃদরোগের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে বেশ ভূমিকা
রাখে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
প্রাকৃতিক চিনি ও আয়রন। এই ফলটি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য
করে।
৮. রক্তের গ্লুকোজ ভালো রাখে
খেজুর এমন একটি খাদ্য, যাকে সুপার
ফুড বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই ফলে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি ও আয়রন। এটি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এই ফলটি রক্তের গ্লুকোজ এর
মাত্রা ঠিক রাখে।
৯. ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক
এই সুপারফুডে রয়েছে অনেক ভিটামিন, এর
মধ্যে হল ক্যালোরি ও কার্বহাইড্রেট। যা মানব দেহের ওজন বৃদ্ধিতে দারুণভাবে কাজ
করে। যারা শারীরিকভাবে ক্ষীণ, তাদের জন্য এই ফলটি ভালো কাজ করবে।
১০. শারীরিক দুর্বলতা ভালো করুন
যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, তাদের
জন্য মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। যাদের শরীর দুর্বলতা রয়েছে, তারা প্রতিদিন নিয়ম
অনুযায়ী কিছু খেজুর ফল খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।
১১. ক্যান্সার প্রতিরোধকারী
খেজুরে এমন কিছু উপাদান
রয়েছে, যা ক্যান্সারের মতো ভয়ংকর রোগ থেকে প্রতিরোধ করে। এবং বিশেষ করে
যাদের লাঞ্চ ও ক্যাভিটি ক্যান্সার তাদের জন্য এটি ভালো কাজ করে থাকে।
১২. মস্তিষ্ক ভালো রাখে
খেজুর এমন কিছু ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ
রয়েছে, যা খেলে মস্তিষ্ক ভালো ও সতেজ রাখতে কাজ করে। এই জন্য প্রতিনিয়ত
নির্দিষ্ট অনুসারে কিছু খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
১৩. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,
ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩ এবং এছাড়া আরো ভিটামিন ও পুষ্টি
উপাদানের সমৃদ্ধ রয়েছে। যা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে কাজ করে থাকে।
খেজুরের অপকারিতা
১. ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে
যাদের ওজন আগে থেকে বেড়ে গিয়েছে, তারা
ভুলেও খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালরি, যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দিতে সহায়ক হতে পারে। এইজন্য যাদের ওজন বেশি
তারা এটা কখনোই ট্রাই করবেন না।
২. এলার্জির প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে
খেজুর এমন কিছু উপাদান রয়েছে,
যা সেবনের ফলে শরীরে চুলকানি, ফোলা ফোলা ভাব হতে পারে। এইজন্য আগে থেকেই যাদের
চুলকানি রয়েছে তারা এই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. ব্লাড সুগারে এটি প্রয়োজন
যাদের এমন সমস্যা রয়েছে। তারা যদি
অতিরিক্ত খেজুর সেবন করে তাহলে রক্তের শর্করা স্বাভাবিকের চাইতে কমে যাওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাবধানতার সাথে এ ফলটি সেবন করা উচিত। এমন রোগীদের
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ফলটি সেবন করা উচিত।
৪. দাঁতের ক্ষতি হতে পারে
অতিরিক্ত খেজুর সেবনের ফলে, দাঁতে খেজুরের
কণা লেগে থাকলে, তার থেকে দাঁতের ক্যাভিটি সৃষ্টি হতে পারে। কেননা খেজুরের রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি, যা দাঁতের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
৫. পাকস্থলী বা হজনের সমস্যা হতে পারে
অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার
ফলে পাকস্থলী এবং হজম প্রক্রিয়ার নানান সমস্যা ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। খেজুর
একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। যার ফলে বেশি সেবন করলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা
দিতে পারে।
৬. শরীরের টক্সিন বেড়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে,
শরীরের টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান গুলো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আরেকটি
বিষয় জানিয়ে রাখা ভালো, বর্তমান বাজারে কিছু নিম্নমানের খেজুররে রাসায়নিক
পদার্থ মিশ্রণ করা থাকে, যা সেবনের ফলে স্বাস্থ্য হীনতার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
সুতরাং এই সমস্ত খেজুর থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৭. কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে
খেজুরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম থাকার
কারণে, কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা পটাশিয়াম হল কিডনির জন্য খুবই
ক্ষতিকর। তাই, যাদের সমস্যা রয়েছে তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
খেজুর ও মধু একসাথে খাওয়ার উপকারিতা
- খেজুরে রয়েছে আয়রন
- ফাইবার
- ম্যাগনেসিয়াম
- পটাশিয়াম
- ফসফরাস
- ক্যালসিয়াম
- ভিটামিন বি৬
- এন্ট্রি অক্সিডেন্ট সহ
- প্রাকৃতিক চিনি
- গ্লুকোজ
- এন্ট্রি অক্সিডেন্ট
- এমাইনো এসিড
- ভিটামিন বি১
- ভিটামিন বি২
- ভিটামিন বি৬
- আয়োডিন
- প্রাকৃতিক চিনি
- জিংক
- পটাশিয়াম
- ফসফরাস সহ আরো খনিজ পদার্থ
খেজুর ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
১. হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়
খেজুর ও মধু, উভয়টাতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার, যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। সুতরাং খেজুর ও মধু একসাথে
খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত কঠিন রোগ ভালো করে এবং
পরিপাকতন্ত্র সুস্থ করে তুলুন।
২. মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ
যে সমস্ত মহিলাদের বাচ্চা হতে
প্রবলেম, তারা খাদ্য তালিকা এই দুই উপাদান রাখতে পারেন। কেননা এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। আর এই দুই উপাদান পুরুষের শুক্রাণু
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩. ত্বক উজ্জ্বল করে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া
যায়। ভিটামিন সি ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদার্থ। শরীরের
ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে, ত্বক মসৃণ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই খেজুর নিয়মিত খেলে
ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করে।
৪. পানি শূন্যতা দূর করে
আমরা সবাই জানি, শরীরের তিন ভাগের দুই
ভাগেই পানি দিয়ে গঠিত। কোনো কারণবশত শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দিলে, তখন
নিয়মিত খেজুর সেবন করলো শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয়। এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি
করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫. যৌন দুর্বলতা দূর করে
একসাথে খেজুর ও মধু খেলে যৌন অক্ষমতা দূর
করার পাশাপাশি, বীর্যের শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি
জোগাতে সাহায্য কর। তাই খাদ্য তালিকায় এই দুই উপাদান রাখা যেতে পারে।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
সকালে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে
লিভার ও হার্ড সুস্থ রাখতে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নির্দিষ্ট পরিমাণে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এটি
স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। কেননা, এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা মানব
দেহের জন্য খুবই উপকারী। খালি পেটে খেজুর খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং
কোষ্ঠকাঠিন্যের মত কঠিন রোগ মুহূর্তের মধ্যে ভালো করে তুলে।
ইফতারে খেজুর খাওয়া
মুসলমানরা রমজান মাসে সারাদিন সিয়াম রাখার পর
ইফতারিতে খেজুর খেয়ে থাকে। যেমন খেজুর খেলে রসূল সাঃ এর সুন্নত পালন হয়,
তেমনি পাশাপাশি সারাদিন সিয়ান পালন করার পর খেজুর খেলে শরীরে শক্তি ফিরে
আসে।
বিকালে খেজুর খাওয়া যেতে পারে
প্রতিদিন বিকালে নির্দিষ্ট পরিমাণে
কিছু খেজুর খাওয়া যেতে পারে। বিকালবেলা ক্ষুধা ক্ষুধা ভাব হলে, খেজুর খেলে
শরীরের শক্তি ফিরে আসে। এবং শারীরিকভাবে অনেক প্রশান্তি মিলে। এজন্য প্রতিদিন
বিকালে খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম
শুকনো খেজুরের কিছু পুষ্টিগুণ
খেজুর শুকনো বা তাজা হোক
উভয়টাতেই পুষ্টিগুনে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন,
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং খনিজ পদার্থ, এছাড়াও আরো
রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী, এমনটাই দাবি করেছেন
কিছু বিশেষজ্ঞরা। তাই এইগুলো অবহেলা না করে, এর খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা খুবই
জরুরী।
সঠিক পরিমাণ ও খাওয়ার নিয়ম
সঠিক পরিমাণ
দৈনিক প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩ থেকে ৪ টি খেজুর খাওয়া
যেতে পারে। অপ্রাপ্তদের অর্থাৎ শিশুদের জন্য দিনে ১ থেকে ২ টি খেজুর খাওয়া
উত্তম। এটি হল সঠিক নিয়ম। এই নিয়মে খেজুর সেবন করলে শরীরে প্রোটিন, ক্যালোরি
ইত্যাদি অতিরিক্ত বাড়বে না। আর যদি এর চেয়ে বেশি খাওয়া যায় তাহলে শরীরে
বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। উপরোক্ত আমরা তা আলোচনা করেছি।
খাওয়ার নিয়ম
সকালবেলা খালি পেটে খেজুর খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার
পাওয়া যায়। তবে পড়ন্ত বিকালেও খাওয়া যেতে পারে। সঠিক নিয়মে খেজুর সেবন
করলে, খেজুরে যতগুলো উপকার রয়েছে, সবগুলির উপকার পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর
১ নং প্রশ্নঃ খেজুর খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়?
উত্তরঃ
খেজুরে অনেক উপকার রয়েছে তা হলো, ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম,
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রাকৃতিক চিনি, খনিজ উপাদান ইত্যাদি আরো উপকার পাওয়া
যায়। এগুলো মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী বলে একদল বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন।
২ নং প্রশ্নঃ কলা ও খেজুর একসাথে খেলে কি হয়?
উত্তরঃ
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আরো পুষ্টিগুণ। খেজুরেও উপরোক্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
সুতরাং কলা ও খেজুর একসাথে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, বিশেষ করে ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য আরও বেশি হতে পারে। এই দুই ফলে অল্পমাত্রায় শর্করা বিদ্যমান
রয়েছে।
৩ নং প্রশ্নঃ খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, খেজুর খেলে
ওজন বাড়ে। কেননা খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং প্রোটিন, যা মানব
দেহের জন্য খুবই উপকারী। এই খেজুর নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার
আমরা খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই ফলটি প্রতিদিন উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে। এতে অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী বলে দাবি করে।
ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url