বেদানা খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন
বেদানা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন। যারা এ বিষয় নিয়ে জানতে আগ্রহী তাদেরকে আমাদের এই আরটিকালের স্বাগতম। আজ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন আলোচনা করা যাক।
আমাদের এই আর্টিকেলে বেদানা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। যারা এ বিষয়ে
জানতে আগ্রহী, তাদেরকে এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
পোস্ট সূচীপত্র .
ভূমিকা
আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর ফল গ্রহণ করতে হয় ৷ কথায় বলে ফল খেলে বল হয় ৷ মানবদেহের জন্য ফল একটি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ সব ধরনের ফলই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ৷ কিন্তু সব ফল থেকে বেদনা ফলের জীবন সবচেয়ে বেশি৷ বেদানা সবারই প্রিয় এবং পছন্দের একটি ফল৷ এই ফল ছোট বড় সকলে খেতে পছন্দ করে৷ এই ফল সবার কাছে একটি চেনা জানা ফল৷ বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক।
অন্যান্য ফল থেকে বেদেনা ফলে পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় দিন দিন এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে৷এই ফল মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ এই ফল অনেক ধরনের রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে থাকে ৷ বিভিন্ন ধরনের জটিল এবং মারাত্মক রোগ যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সারের মত মরণব্যাধি ইত্যাদি হতে আমাদের রক্ষা করে৷ এছাড়াও রয়েছে,ডায়রিয়া কোলেস্টেরল,রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি রোগের জন্য ঔষধ হিসেবে বেদেনা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে৷
বেদেনা খাওয়ার কিছু বিশেষ উপকারিতা
বেদেনা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল যার কথা না বললেই না।বেদেনা বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করে থাকে। এই ফলটি যেমন দেখতে খুব সুন্দর তেমনি খেতে খুব সুস্বাদু ও রসালো একটি ফল। রসে ভরপুর এই ফলটি আমরা জুস বানিয়ে খেতে পারি৷ এই ফলে বিশেষ কিছু ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি,ভিটামিন কে সাইট্রিক এসিড এবং ফলিক এসিড ইত্যাদি ৷
আমাদে শরীর এবং ত্বককে ভালো রাখতে বেদনার কোনো বিকল্প নেই৷ বেদানার গাছ ও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷বেদানার রস আমাদের শরীরের কোষকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে৷আমাদের শরীরের ওজন,আমাদের শরীরকে কর্মঠ এবং আমাদের শরীরের রক্তের পরিমান ঠিক রাখে৷ রক্তস্বল্পতা পূরণের জন্য বেদানার রস খুবি কার্যকরী একটি ফল৷
আমাদের দেশের গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন ধরনের অপুষ্টি এবং রক্তস্বল্পতায় ভোগে থাকে৷ এমনকি গর্ভবতী মায়ের পেটের বাচ্চা ও বিভিন্ন ধরণীর অপুষ্টি এবং রক্তস্বল্পতার অভাবে বাচ্চার ওজন বাড়তে পারে না৷তাই এসব সমস্যা দূর করার জন্য গর্ভবতী মায়েদের বেশি বেশি বেদানা খেতে হবে৷ তাহলে এসব সমস্যা হতে রেহাই পাওয়া যাবে ৷
বেদেনা যেসব রোগ নিরাময় করে থাকে তা নিচে লেখা হলো:
(১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: এটি একটি মরণব্যাধি৷ বেদানা ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে৷ যেমন: (protest) ক্যান্সার এবং (brest) ক্যান্সার হতে আমাদের রক্ষা করে৷ এসব ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশি বেশি বেদানা খাওয়াতে হবে৷ যাতে করে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হয় ৷ এতে করে ক্যান্সার অনেকটাই নির্মূল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
(২) হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষনাই হৃদরোগে ভুগছেন৷ হৃদরোগের অন্যতম কারণ হলো চিন্তা, টেনশন ইত্যাদি৷ তাই হৃদরোগের জন্য বেদানা খাওয়া বেস্ট অপশন হবে৷কেননা বেদানাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷ এইজন্য আপনার খাদ্য তালিকায় বেদানার মত উপকারী ফল রাখতে পারেন৷
(৩) ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে: বেদানার দানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন৷ এই ফলটি নিয়মিত খেলে ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে৷ বিশেষ করে ডার্ক স্পট দূর করে৷ এই ফলটি বয়সের বার্ধক্য দূর করে চেহারায় আনে উজ্জ্বলতা৷ এইজন্য স্বাদে গুনে ভরা বেদানা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা খুবই জরুরী৷
(৪) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অনেক গবেষকদের মতে, বেদানার রস এতটাই কার্যকারী যে, এটা সেবনের কিছুক্ষণের মধ্যে কাজ শুরু কর দেয়৷ অধিকাংশ সময় উচ্চ রক্তচাপ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ এজন্য নিয়মিত এই ফলটি খেতে পারেন৷
(৫) ডায়াবেটিক ভালো করে: বাংলাদেশের প্রায় ৯৭% মানুষই এই রোগে আক্রান্ত৷ এই রোগ দীর্ঘদিন যাবত শরীরে বাসা বাঁধলে বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ বেদানা এমন একটি ফল, যার গুনাগুন সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিদরা উল্লেখ করেছেন যে, এই ফলটি মানব দেহের রক্তের গ্লুকোজ ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে৷ তাই এই ফলটি মানব দেহের পুষ্টির বিশাল এক অংশ বহন করে৷
(৬) চুল পড়া রোধ করে: আপনি কি অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত? তাহলে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বেদানা রাখতে পারেন৷ কারণ বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি৷ এই ফলটি চুলের ফলিকন বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক৷ এই ফল নিয়মিত সেবনে চুল ঘন, মসৃণ এবং দেখতে সুন্দর লাগবে৷
(৭) শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করে: আমাদের শরীর প্রতিদিন সুস্থ সবল রাখতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের প্রয়োজন৷ যেমন ধরুন ভিটামিন ই ভিটামিন ডি পটাশিয়াম আয়রন ইত্যাদি এইসব কয়টা ভিটামিন এই ফলের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে৷ তাই এই বেদানার সাথে নিবিড় সম্পর্ক রাখতে পারেন
(৮) দাঁত শক্ত করতে দারুন কার্যকারী: এই ফলটি দাঁত শক্ত এবং মজবুত করতে দারুন কার্যকারী৷ কেননা এর ফলটি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ৷ এই ভিটামিনটি হাড়ের জন্য দারুন কাজ করে থাকে৷ এছাড়াও এই ফলটি দাঁতের ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রামন রোগ থেকে মুক্তি দেয়৷ এই ফলে আরও একটি পদার্থ বিদ্যমান রয়েছে৷ তা হল, ফলিক এসিড যেটি দাঁতের ক্যাভিটি রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখে৷
(৯) বেদানা বমি বমি ভাব দূর করে: কারো পেটে কোন সমস্যার কারণে যদি বমি বমি ভাব হয়৷ তাহলে করণীয় হল বেশি বেশি বেদানার রস পান করানো৷ এতে পেটের যাবতীয় সমস্যা বিশেষ করে বমি বমি ভাব দূর হবে ইনশাআল্লাহ৷
(১০) বেদানার রস এবং দারচিনির গুড়ার জুস: এই মিশ্রণটি অত্যন্ত উপকারী৷ এগুলো নিয়মিত সেবনে শরীর চাঙ্গা করে৷ শরীর সুস্থ সবল রাখতে বাড়িতে এই মিশ্রণটি রাখা খুবই জরুরী৷
(১১) সর্দি কাশি ভালো করে: যেকোনো মৌসুমে সর্দি কাশি হলে, বেদানার রস খুব ভালো কাজ করে থাকে৷ তাই সর্দি কাশি হলে বেদানার রস নিয়মিত খেতে পারেন৷
(১২) রক্তশূন্যতা দূর করে: অধিকাংশ মানুষের শরীরে কোন সমস্যার কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়৷ তখন এই ফলটি রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সেবন করতে পারেন৷ এই ফলটিতে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন ইত্যাদি আরো নানান পুষ্টিকর উপাদান৷
বেদানার কিছু অপকারিতা
(১) যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে: যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তারা বেদানা থেকে একটু দূরে থাকবেন৷ কেননা বেদানাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে৷ যা মুখ এবং ত্বকের এলার্জি বাড়িয়ে তুলতে পারে৷ এইজন্য এই ফল থেকে একটু সতর্ক থাকবেন৷
(২) কোষ্ঠকাঠিন্যর মত রোগ থাকলে: যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা কষা তারা এই ফলটি এড়িয়ে চলবেন৷ কারণ এই ফল সেবনের ফলে পেটের বিভিন্ন রোগ জাগিয়ে তুলতে পারে৷ এইজন্য একটু সতর্ক থাকবেন।
(৩) যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত: মানসিক রোগের জন্য ঔষধ সেবন করলে বেদানা বা তার রস খাওয়া উচিত নয়৷ এই সমস্ত রোগীরা বেদানা খেলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ তার মধ্যে একটি অসুবিধা হলো এই ঔষধ ঠিকঠাক কাজ নাও করতে পারে৷ বেদানা এবং মানসিক রোগের ঔষধ একত্রে মিলে বিষ ক্রিয়া ঘটতে পারে৷ এজন্য মানসিক রোগীকে এই ফলটি খেতে না দেওয়াই উচিত৷
(৪) হজমের সমস্যা হতে পারে: বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা অতিরিক্ত সেবন করলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যেমন এসিডিটি, আলচার, গ্যাস, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি। এজন্য বেদানা খাওয়ার পূর্বে এগুলো মাথায় রাখা খুবই জরুরী।
(৫) রক্তচাপ কমাতে পারে: বেদানার রস যেমন ভালো তেমন আবার ক্ষতিকর। এই ফলের রস মানব দেহের রক্তচাপ কমাতে দারুন সহায়ক। যাদের রক্তচাপ কম তারা এই বেদানা থেকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। একটু সামান্য ভুলের কারণে সারা জীবনের কান্না হতে পারে।
(৬) রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে: বেদানা ফলে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে
তার মধ্যে আছে প্রাকৃতিক চিনি, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রক্তের শর্করা
বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা এই ফল সাবধানতার সাথে সেবন
করবেন।
(৭) ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে: বেদানার রসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
বেদানাতে পুষ্টিগুণ আছে
- পানি ৭৭ গ্রাম
- পটাশিয়াম ৩৯৮ মিলিগ্রাম
- চর্বি ২.১ গ্রাম
- শর্করা ১৫.৫ গ্রাম
- প্রোটিন ১.৫ গ্রাম
- ভিটামিন K ১৬.৫ মাইক্রো গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ১০ গ্রাম
- ভিটামিন সি রয়েছে ১৫ গ্রাম
- ফসফরাস রয়েছে ৭১ গ্রাম
- চিনি ৮.২ গ্রাম
- রিবোফ্লাভিন ০.৪ মিলিগ্রাম
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ১০ গ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম
- ক্যালোরি ৮০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৯ ৩২ মাইক্রো গ্রাম
বেদানা এবং ডালিম এর মধ্যে পার্থক্য
বেদানা এবং ডালিম দুইটি শব্দ আলাদা আলাদা অর্থ বহন করে। সাধারণত এই দুইটি হল একটি
ফল, যা আমরা প্রায়ই খেয়ে থাকি। তবে বেদানা এবং ডালিমের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য
পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে আলোচনা করা হলো
বেদানা: সাধারণত আকৃতি ছোট হয়ে থাকে, এটি একটি ফল হিসেবে আমরা খেয়ে
থাকি। এর মধ্যে ছোট ছোট রসালো দানা রয়েছে। যেগুলো অত্যান্ত সুস্বাদু এবং
পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফলের দানার ভিতরে ছোট ছোট নরম বিচি রয়েছে।
ডালিম: ডালিম সাধারণত বেদনার চেয়ে একটু বড় হয়ে থাকে। এর ভেতরেও ছোট ছোট
রসালো দানা রয়েছে। তবে বেদানার চাইতে এর দানা একটু শক্ত হয়ে থাকে। ডালিমে হালকা
তিক্ততা থাকতে পারে। এবং বেদানা একটু মিষ্টি ধরনের হয়ে থাকে।
ডালিমের বিচির উপকারিতা
হৃদরোগের যাবতীয় ঝুঁকি কমায়: ডালিমের বিচি খেলে হৃদরোগের যাবতীয় ঝুঁকি কমায় এবং সুস্থ রাখে, কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আরো পুষ্টিগুণ। এগুলো নিয়মিত খেলে হৃদরোগের যাবতীয় ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: বেদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বক এবং চামড়ার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুন সহায়ক। এবং ত্বকে বয়সের বার্ধক্য থেকে মুক্তি দেয়। এতে ত্বক উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখায়।
হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে: ডালিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, কপার ইত্যাদি আরো খনিজ পদার্থ রয়েছে। ডালিমের বিচি, হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী করতে দারুণ ভূমিকা রাখে। তাই এই বিচি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ওজন কমায়: ডালিমের বিচিতে ফ্যাট এবং ক্যালোরি সামান্য পরিমাণে রয়েছে, যা
খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এবং এতে আরো রয়েছে ফাইবার, যা পেটের যাবতীয়
সমস্যা দূর করে স্বস্তি দান করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ডালিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি
গুণ এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অস্ত্র
পাচার এবং সিজারিয়ান মহিলাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিচি খেলে যাবতীয়
ইনফেকশন ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর
প্রতিদিন বেদানা খেলে কি হয়?
উত্তর: প্রতিদিন বেদানা খেলে অনেক
উপকার পাওয়া যায়। তার মধ্যে হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ফ্রি রেডিক্যাল কমিয়ে দেয়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে।
বেদানাতে কত ক্যালরি থাকে?
উত্তর: বেদানাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি
থাকে, ১০০ গ্রাম বেদানাতে রয়েছে প্রায় ৮৩ গ্রাম ক্যালরি।
বেদানা খেলে কি মোটা হয়?
উত্তর: বেদানাতে রয়েছে ভিটামিন সি,
পুষ্টিগুণ, ক্যালরি, আয়রন ও আরো খনিজ পদার্থ। এই পুষ্টি উপাদান গুলো মানব দেহের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, চেহারা উজ্জ্বল এবং
সুন্দর করে তুলে।
বেদানা খেলে কি রক্ত বাড়ে?
উত্তর: হ্যাঁ, বেদানা খেলে শরীরের রক্ত
বৃদ্ধি পায়। কেননা বেদানাতে রয়েছে, খনিজ পদার্থ যেমন আয়রন, কপার,
ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। যা নিয়মিত সেবন করলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে
দারুন সহায়ক।
বেদানা খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
উত্তর: প্রেসার বাড়ানোর জন্য যে
কয়টা উপাদান রয়েছে সব কয়টায় এই ফলে বিদ্যমান। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে এই ফল
সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
পরিশেষে বলা যেতে পারে, আমরা বেদানা সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই আর্টিকেলটি পড়লে অনেকেই উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url