ইসবগুলের ভুসি উপকারিতা ও অপকারিতা
ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকালে জানতে পারবো। যারা এ বিষয়ে
জানতে আগ্রহী তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন।
ইসুবগুলের ভুষির অপকারিতা সম্পর্কেও এখানে আলোচনা করা হবে। সবাইকে শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
পোস্ট সূচিপত্র .
ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা
হার্ট ভালো ও সুস্থ রাখে: এই খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক
ফাইবার। যা মানব দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্বিগুণ হাড়ে কমিয়ে দেয়। এবং হার্ট
সুস্থ ও ভালো রাখতে দারুন সহায়ক। তাই নিয়মিত এই উপাদানটি খাদ্য তালিকায়
অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: নিয়মিত ইসুবগুলের ভুষি খেলে
রক্তের শর্করার মাত্রা ধীরে পাড়াতে সাহায্য করে। যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা
নিয়মিত এটি সেবন করতে পারেন। কেননা এই উপাদানটি খেলে দ্রুত শরীরে শর্করার মাত্রা
ছড়াতে পারে না।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার
পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে থাকি, যা ক্ষতি এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে
পারে। তাই ইসবগুলের ভুষিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পেটের ক্ষুধাকে
নিয়ন্ত্রণে রাখে ফলে খাবারের অনুভূতি খুব কম থাকে। আর খাবার পরিমান মত খেলে
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখ: ইসবগুলের ভুষি নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেননা এতে রয়েছে জিলাটিন নামক এক উপাদান। যা ডায়াবেটিসের
সুগার শোষণ করে নেয়। ফলে অতিরক্ত সুগার রক্তে যুক্ত হয় না। এতে শরীর ডায়াবেটিস
মুক্ত থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা
নিয়মিত এই উপাদানটি সেবন করতে পারেন। কেননা অধিকাংশ চিকিৎসকরা এরকম সমস্যার
কারণে ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এই উপাদানটি নিয়মিত সেবন
করা যেতে পারে।
হজমে উন্নতি করে: ইসবগুলের ভুষি নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি ও পেট
পরিষ্কার রাখে। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। বিভিন্ন ডাক্তারেরা কোষ্টকাঠিন্যতে
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হজম শক্তি উন্নত করতে নিয়মিত এই
উপাদানটি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারে।
শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে: মানব দেহের যাবতীয় বিষাক্ত বর্জ্য বের
করে আনে। ফলে শরীর সুস্থ রাখতে দারুন সহজ হয়। এবং পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রেখে এর
প্রক্রিয়া চলমান রাখে। এজন্য ইসবগুলের ভুষি অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।
ডায়রিয়া ভালো করে: অনেক সময় ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা
দেয়। এবং প্রচন্ড এনার্জি ক্ষরণ হয়। সুতরাং ডায়রিয়ার পানি শূন্যতা এবং
এনার্জি দূর করতে দারুন ভাবে কাজ করে। তাই এ সমস্ত রোগীদেরকে ইসবগুলের ভুষি
নিয়মিত খাওয়াতে পারেন।
পাইলস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী: যাদের পাইলসের সমস্যা আছে তারা ইসবগুলের
ভুষি নিয়মিত খেতে পারেন। এই উপাদানটি মল নরম করতে দারুন সহায়ক।
রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: ইসবগুলের ভুষিতে এমন কিছু উপাদান
রয়েছে যা অতিরিক্ত রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এবং খারাপ কোলেস্টেরল
যেমন (LDL) কমাতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে তুলে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে: আমাদের আরো একটি সমস্যা হল গ্যাস্ট্রিক। যা
অনেক সময় প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তাই এটিকে অবহেলা করা ঠিক নয়। এ
সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি সেবন করতে পারেন। যা গ্যাস্ট্রিকের
মত সমস্যা দূর করতে পারে।
প্রসাবের জ্বালাপোড়া দূর করে: এই সমস্যা কমবেশি অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে।
যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি সেবন করতে পারেন। অতিরক্ত
পরিশ্রম করার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। খাওয়ার নিয়ম সকাল বিকাল
এক গ্লাস পানির সাথে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি এবং পরিমাণ মতো আখের গুড় মিক্সার
করে খেতে পারে।
প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে: ইসবগুলের ভুষিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার, যা মানব দেহের ক্যালরি বৃদ্ধিতে দারুন সহায়ক। নিয়মিত এই খাদ্য গ্রহণ
করলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে। এবং হাড়ের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করে। যাদের ক্যালসিয়ামের সমস্যা তারা নিয়মিত এই খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম
কোষ্ঠকাঠিন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি রোগ। এ সমস্যা যার রয়েছে সে জানে এই রোগের
জ্বালা কেমন। এই রোগ ভালো করতে ইসবগুলের ভুষির ব্যতিক্রম আর একটিও উপাদান নেই। এর
ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়মাবলী নিম্নে আলোচনা করা হলো।
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়মাবলী
১. খাওয়ার সঠিক সময়
- সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে খাওয়া যেতে পারে
- দুপুর ১২ টার সময় খাওয়া যেতে পারে
- বিকালে খাওয়া যেতে পারে
২. খাওয়ার সঠিক পরিমাণ
- এক গ্লাস পানিতে ২/৩ চা চামচ পরিমাণ ইসুবগুলের ভুষি
- ফলের রসের সাথে ১/২ চা চামচ পরিমাণ
- আখের গুড়ের এবং পানির সাথে ১/২ চা চামচ পরিমাণ
- বাতাসা অথবা চিনির সাথে ২/৩ চা চামচ পরিমাণ
- লেবুর রসের সাথে ১/২ চা চামচ পরিমাণ
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পর বেশি করে পানি পান করতে হবে। কেননা এই উপাদানটি খাওয়ার পর পেটে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে পানি পান করতে হবে। তাহলে আরও বেশি উপকার মিলবে।
ইসবগুলের ভুসি অপকারিতা
সর্দি কাশি হতে পারে: ইসবগুলের ভুষি নিয়মিত খাওয়ার পর সর্দি কাশি হতে
পারে। কারণ এটি দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারণে অতিরিক্ত পানি শাসন করে
নেয়। যার ফলে এই উৎপাদন সেবন করলে সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং
নিয়ম জেনে এই উপাদানটি খাওয়া উচিত। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া
উচিত।
এলার্জির সমস্যা হতে পারে: ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জির
সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। যাদের পূর্বে থেকে সমস্যা রয়েছে তারা এই উপাদান
খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক অবলম্বন করা উচিত। এলার্জির সমস্যার কারণে যেমন
শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, আবার এমনকি ত্বকে ফুসী বা লালচে ধরণের সমস্যা দেখা দিতে
পারে।
পেট ব্যথা হতে পারে: ইসবগুলের ভুষি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে পেট ব্যথা
হতে পারে। কেউ যদি লাভের আশায় এই উপাদানটি বেশি পরিমাণে খায় তাহলে লাভের আশায়
ক্ষতিই বেশি হবে। তাই কোন জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। এটি পেটের যেকোনো
সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পেট ফাঁপা বা গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে: পর্যাপ্ত পরিমাণে ইসুবগুলের
ভুষি খাওয়ার কারণে পেটের নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে হলো যেমন পেট
ফাঁপা বা ফুলে ওঠা এবং গ্যাসটিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য এই উপাদানটি
নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
ঔষধের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে: অনেক সময় আমরা বিভিন্ন সমস্যার
কারণে ঔষধ সেবন করে থাকি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঔষধ সেবনের পূর্বে অথবা পরে লাভের
আশায় ইসুবগুলের ভুষি খেয়ে থাকি। এই অভ্যাসটি মোটেও ঠিক নয়। এতে ঔষধের
কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই উচিত হলো ঔষধ সেবনের ১/২ ঘন্টা আগে অথবা পরে
এই উপাদানটি খাওয়া উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি হতে পারে: ইসবগুলের ভুষি নিয়মের চাইতে বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সঠিক নিয়ম হলো নিয়ম মেনে এই উপাদানটি খাওয়া উচিত। ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তাহলে এই রোগ থেকে রেহাই মিলবে।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
আধা গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুষি তার সাথে বাতাসা অথবা
আখের গুড় পরিমাণ মতো মিক্স করে সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন।
এক অথবা আধা গ্লাস দুধেতে দুই থেকে তিন চা চামচ ইসবগুলের ভুষি দিয়ে কিছুক্ষণ
ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর চাইলে এর সাথে স্বাদ অনুযায়ী আখের গুড় ব্যবহার করতে
পারেন। কিছুক্ষণ পর এটা সেবন করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ফলের রসের সাথে খেতে পারেন: প্রথমে এক গ্লাস ফলের রসের মধ্যে এক থেকে দুই
চা চামচ ইসবগুলের ভুষি দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর এটি সেবন করলে
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
ইসবগুলের ভুষি ও তোকমা খাওয়ার নিয়ম
এই দুই উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক চিকিৎসাবিদ এই দুই উপাদান
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উপাদান সঠিক নিয়মে নিয়মিত সেবন করলে অনেক উপকার
পাওয়া যায়। যেমন শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলে, সুঢাম দেহের অধিকারী হওয়া
যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি। নিম্নে ইসুবগুলের ভুষি ও তকমা
খাওয়ার কিছু নিয়ম আলোচনা করা হলো।
- ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ও তোকমা একসাথে মিক্সড করে এক গ্লাস পানির সাথে খেতে পারেন।
- ২ চা চামচ এই দুই উপাদান মিক্সট করে এক গ্লাস পানির সাথে একটু চিনি অথবা বাতাসা দিয়ে পান করতে পারেন।
- ফলের রসের সাথে এই দুই উপাদান ২চা চামচ দিয়ে পান করতে পারেন।
- লেবুর রসের সাথে এই দুই উপাদান ২ চা চামচ নিয়ে পান করতে পারেন।
ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়
ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে দারুন ভাবে
কাজ করে থাকে। পেটের গ্যাস্ট্রিক সহ কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ দ্রুত সারিয়ে তুলতে
সহায়ক। এইগুলো খাবার মোটা হওয়ার জন্য নয়। বরং এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
করে।
- এটি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করতে দেয় না, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- হজম শক্তি উন্নত করে।
- এটি পেট ভরা রাখি। দ্রুত ক্ষুধার অনুভূতি দূর করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কঠিন রোগ ভালো করে।
- গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে।
- দুর্বল শরীর সবল করে।
ইসবগুলের ভুষি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়
উত্তর: ইসবগুলের ভুসি খেলে বীর্য গাঢ় হয়। নিয়মিত এই উপাদানটি ৭ অথবা ১০
দিন খেলে পুরুষের বীর্য গাঢ় বা ঘনত্ব হবে। তবে এর সাথে প্রোটিন জাতীয় খাবার
যেমন দুধ, ডিম, মাংস, ভাত ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করলে পুরুষের শুক্রাণু এমনিতেই
বৃদ্ধি পাবে। এবং বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ইসবগুলের ভুসি খেলেই যে বীর্য গাঢ় হবে এমনটা কোন
গবেষণায় উঠে আসেনি। তবে অল্প মাত্রায় বীর্য গাঢ় হতে পারে। তবে এই উপাদানটি
নিয়মিত সেবন করলে শারীরিকভাবে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়
ইসবগুলের ভুষি কতদিন খেতে হবে এর সঠিক সময় বলা মুশকিল। তবে চিকিৎসকরা ধারণা
করেছেন যে, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ এই উপাদানটি নিয়মিত সেবন করা যেতে পারে। যদি
সম্ভব হয় তাহলে দিনে দুইবার খেতে পারেন। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে সকালে খালি
পেটে একবার খেতে পারেন। এতে শারীরিকভাবে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ইসবগুলের ভুসি কি ওজন কমায়
ইসবগুলের ভুষি নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কেননা ইহাতে থাকা কিছু উপাদান
ক্ষুধা দূর করতে সাহায্য করে। যার ফলে ঘন ঘন খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এজন্য
ইসুবগুলের ভুষি নিয়মিত সেবন করলে ওজন ঠিক থাকে। তাই নিয়মিত এই উপাদানটি আপনার
খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম
খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কেননা এতে রয়েছে উচ্চ
মাত্রার ফাইবার, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে
কয়েকটি উপকার পাওয়া যায় নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো-
- আমাশয় দূর হয়
- খাদ্যনালী পরিষ্কার হয়
- গ্যাস্ট্রিক ও পেট ফাঁপা রোগ ভালো হয়
- পেটের যাবতীয় সমস্যা নিরাময় হয়
- শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের ইসবগুলের ভুসি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এটি সেবন করার খুবই উপকার রয়েছে। তবে সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম না জানলে স্বাস্থ্য অনেক হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।
সুতরাং এটি খাওয়ার পূর্বে স্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ায় বেটার।
পরিশেষে এই যে, আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে
ভুলবেন না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url