শসার উপকারিতা ও অপকারিতা

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো। যারা এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী তাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলে স্বাগতম।

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা

শসা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও এই ব্লগে জানতে পারবেন। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পোস্ট সূচিপত্র.

শসা খাওয়ার উপকারিতা

শসা আমরা সবজি হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। এইসব যে মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এবং পানির বড় অংশ এই ফলটির মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। তাই আমরা এই ফলটি প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করা হলো;

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: হজমে গন্ডগোলের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে, তারা এই ফলটি কাঁচা চিবিয়ে নিয়মিত কয়েকদিন খেতে পারেন। আশা করা যায় এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। পেটে অনেক শান্তি পাওয়া যাবে।

ওজন কমাতে: ওজন কমাতে শসা দারুন উপকারী। যাদের ওজন বেড়ে গিয়েছে তারা শসাকে সালাদ অথবা স্যুপ বানিয়ে নিয়মিত কয়েক দিন খেতে পারেন। এইভাবে কয়েকদিন সেবন করলে শরীরের ওজন অনেকটাই কমে যাবে।

রূপচর্চায় শসার ব্যবহার: শসাতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম। যা রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়। এই ফলটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি রূপচর্চার জন্য ভালো একটি অপশন হতে পারে।

ইউরিক এসিড কমায়: নিয়মিত শসা খেলে শরীরের ইউরিক এসিড কমায়। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা, যা বাত ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। শসা এবং গাজরের রস একসাথে মিক্স করে নিয়মিত কয়েকদিন খেলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যায়।

নখ এবং চুলের উপকার করে: শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সিলিকা, সালফার ও খনিজ পদার্থ ইত্যাদি, যা চুল বৃদ্ধিতে এবং নখ সতেজ রাখতে দারুন ভাবে কাজ করে। যাদের চুলের সমস্যা তারা এই ফলটি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেনা।

ডায়াবেটিস রোগের জন্য উপকারী: শসাতে চিনির পরিমাণ কম থাকে ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন। এটি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না।

শসা খাওয়ার অপকারিতা

শরীরে জমা হতে পারে টক্সিন: অতিরিক্ত মাত্রায় শসা খেলে শরীরে জমা হতে পারে টক্সিন। আর এই টক্সিন অনেক সময় ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। শসায় রয়েছে দুটি টক্সিন টেরাসাইক্লিন এবং কিউকারবিটাসিনস। এই দুই টক্সিন বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।

পেটের সমস্যা হতে পারে: শসা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এই ফল যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয় তখন উপকারের চাইতে ক্ষতিই বেশি হয়। যেমন বদহজম, পেট ব্যথা, এবং পেটে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই ফলটি খাওয়ার পূর্বে সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরী।

প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে: শসাতে রয়েছে অধিক পরিমাণে পানি। এবং শসাতে আরো একটি উপাদান রয়েছে যেমন কিউকারবিটাসিনস, যা প্রস্রাবের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শসা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম

শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে শসার জুড়ি মেলা বড় দায়। এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে এটি খাওয়ার নিয়ম হলো সালাদ অথবা স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন। তবে গাজরের রস এবং শসার রস একসাথে মিক্স করে খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে এটি অতিরিক্ত সেবন করা যাবে না। এতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শসা খেলে কি ওজন বাড়ে?

শসা খেলে ওজন বাড়ে না বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে। শসাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার, ফলে খাবারের মাত্রা তুলনামূলক কমিয়ে দেয়। এজন্য খাবারের চাহিদা খুব একটা বেশি থাকে না। এজন্য ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এই উপকারী ফল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যা অত্যন্ত উপকারী বস্তু, পুষ্টিবিদরা এমনটাই মন্তব্য করেছেন।

সকালে খালি পেটে শসা খেলে কি হয়

শসা খালি পেটে খেলে শরীরে নানান উপকার সাধিত হয়। এবং শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো;

  • ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
  • হজম শক্তি উন্নত করে
  • শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে
  • শরীরের আর্দ্রতা ঠিক রাখে
  • ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে
  • পেটের অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধি থেকে রক্ষা করে
  • রূপচর্চায় দারুন উপকারি
  • চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধকারী
  • মাথাব্যথায় উপকারী।

শসা খাওয়ার সঠিক সময়

  • সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন
  • স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন
  • কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন
  • জুস বানিয়ে খেতে পারেন
  • গাজর ও শসার এক সাথে জুস খেতে পারেন
  • রান্না করে খেতে পারেন

শসা খেলে কি গ্যাস হয় ?

না, শসা খেলে গ্যাস হয় না। বরং এই ফলটি নিয়মিত খেলে শরীরে নানান উপকার পাওয়া যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এই ফলটি পেটের গ্যাসের উদ্রেক কমায়। কেননা এতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ফল খেলে উপকারের চাইতে ক্ষতিই বেশি হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url