চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়

চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা এই ব্লগে বিস্তারিত জানতে পারব। যারা আগ্রহী তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে পারেন।

চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়

আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কেও জানতে পারবো। আগ্রহী ব্যক্তিরা শুরু থেকে পড়তে পারেন।

পোস্ট সূচিপত্র.

চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়

নারিকেলের তেল ব্যবহার: নারিকেলের তেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং, যা ত্বককে চর্ম এবং এলার্জির রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখে। তাই নারিকেলের তেল নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহার বিধি: একটি পরিষ্কার পাত্রে প্রয়োজনমতে কিছু নারিকেলের তেল নিয়ে নিন। তারপর কিছুক্ষণ গরম করুন। হালকা গরম নারিকেলের তেল এলার্জির স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে দিনে চার থেকে পাঁচ বার ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত মধু খেতে পারেন: মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এলার্জির সমস্যা দূর করার জন্য মধু নিয়মিত সেবন করতে পারেন। এতে ত্বকের প্রদাহ এবং চুলকানি কমাতে দারুন ভাবে কাজ করে। এজন্য খাদ্য তালিকায় মধু যুক্ত করতে পারেন।

এলোভেরা জেল ব্যবহার: এলার্জি এবং চুলকানির জন্য এলোভেরা জেল নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এলোভেরা জেল ব্যবহার করার জন্য ত্বক চুলকানি ও এলার্জি মুক্ত থাকে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চাইলে পরিছন্নতা বজায় রাখুন। নিয়মিত গোসল এবং পোশাক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এভাবে হয়তবা এলার্জির প্রকোপ থেকে চিরতরের মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

তিতা জাতীয় খাবার সেবন: তিতা জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন। যেমন নিমপাতা ভাজা, করোলা ভাজা, সাজনে পাতা ভাজা ইত্যাদি নিয়মিত সেবন করলে ত্বকের চর্ম এলার্জি দূর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এইগুলো খাবার নিয়মিত খেতে পারেন।

ব্রেকিং সোডার ব্যবহার: ব্রেকিং সোডা এক অথবা আধা কাপ পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে নিন। এবং এই সোডার একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট নিয়মিত চুলকানির স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাস, যা ত্বকের চুলকানি দ্রুত নিরাময় করতে পারে।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়

শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে: রক্তের এলার্জি দূর করতে চাইলে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে ফলে রক্তে চুলকানির মাত্রা কমে যাবে। এবং শরীরের কার্যিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে যাদের পূর্বে থেকেই রক্তের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ধূমপান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু তাই না, ধূমপানের কারণে রক্তে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলাই ভালো।

শরীরের ওজন ও চর্বি কমিয়ে ফেলুন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও চর্বি না কমালে শরীরে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে একটি হলো রক্তে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং চর্বি কমিয়ে ফেলুন।

টক দই খেতে পারেন: টক দইয়েতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের রক্তের এলার্জি কমাতে সক্ষম। তাই নিয়মিত টক দই খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া যাবে না। এতে বিপরীত হতে পারে।

গ্রিন টি পান পারেন: রক্তে এলার্জি কমাতে গ্রিন টি একটি বেস্ট অপশন হতে পারে। এটি নিয়মিত পান করলে রক্তে এলার্জি দূর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

নিম পাতার ব্যবহার: এলার্জি এবং চুলকানির যম হলো নিম পাতা। নিমপাতা শরীরে ছত্রাক জনিত জীবাণু মুহূর্তেই ধ্বংস করে ফেলে। হালকা গরম এক বালতি পানি (যতটুকু সহ্য হয়) নিয়ে তার ভেতর কিছু নিমপাতা দিয়ে গোসল করতে হবে। এভাবে কিছুদিন গোসল করলে আশা করা যায় যৌনির চুলকানি এবং এলার্জি ভালো হবে।

রসুনের ব্যবহার: এলার্জি এবং চুলকানির আরেকটি উপকরণের নাম হলো রসুন। রসুনে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, যা জীবাণু মুহূর্তেই ধ্বংস করে ফেলে। প্রথমে ২ কোয়া রসুন ভালো করে পালিশ করে নিতে হবে। তারপর দুই তিন ফোটা ভিটামিন ই তেল উত্তম রূপে মিক্সড করে নিতে হবে। এরপর আক্রান্ত স্থানে দিনে দুই থেকে তিনবার এবং ৩/৪ সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যাবে।

নারিকেলের তেলের ব্যবহার: খাঁটি নারিকেলের তেল, আক্রান্ত স্থানে দিনে দুই থেকে তিনবার। এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করলে, আশা করা যায় ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মধুর ব্যবহার: চুলকানির আরও একটি ভালো উপকরণ হলো মধু। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, যা ফাঙ্গাসের দ্রুত উপশম করে। মধু নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এতে যৌনির চুলকানি দ্রুত নিরাময় হয়।

আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহার: যোনির চুলকানি উপশমের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার এর ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এর বৈশিষ্ট্য। যা যোনির চুলকানিতে দারুন কাজ করে। আপেল সিডার ভিনেগার আক্রান্ত স্থানে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

যোনিতে চুলকানি হলে ঔষধ

যোনিপথে চুলকানির সবচেয়ে ভালো ওষুধের নাম হলো ক্লোট্রিমাজোল ১% ক্রীম। এই ক্রীম যোনিপথের যাবতীয় সংক্রমণ রোগ থেকে দ্রুত সুস্থ করতে পারে। এটির প্রয়োগ হল প্রথমে এই ক্রীম যোনিপথের চারপাশ দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এইভাবে মোট ছয় দিন দিনে দুইবার ব্যবহার করতে হবে।

কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই

ফলমূল যেমন আম, কাঁঠাল, জাম ইত্যাদি। কিছু পুকুরে চাষ করা মাছেও এলার্জির পরিমাণ কম রয়েছে। এগুলো আমরা নিয়মিত দেখি খেতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যাদের এলার্জির সমস্যা নাই তারা এগুলো খাবার নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারেন। যারা পূর্বে থেকে এলার্জির সমস্যায় ভুগছেন তারা এগুলো খাবার এড়িয়ে চলায় উত্তম হবে।

কোন কোন ফলে এলার্জি আছে

আমাদের চারপাশে এমন কিছু ফল রয়েছে তাতে এলার্জি বা চুলকানি থাকতে পারে। সেগুলো ফল দেহের জন্য উপকার হলেও এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের পূর্বে থেকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এগুলো ফল এড়িয়ে চলবেন। নিম্নে কয়েকটি ফলের কথা উল্লেখ করা হলো;

যেমন বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, অ্যাভোকাডা, পেস্তা দানা, বাদাম, কাজু বাদাম, আপেল, চিনা বাদাম, জলপাই, নারিকেল ইত্যাদি। যাদের পূর্বে থেকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এগুলো ফল এড়িয়ে চলতে পারেন। তবে হালকা মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।

কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে

সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি। এবং লাল শাকসবজিতেও এলার্জি রয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ম মাত্রায় খেলে তেমন ক্ষতি হয় না। নিম্নে এমন কয়েকটি সব সবজির কথা উল্লেখ করা হলো;

যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, টমেটো, লাল শাক, পুঁইশাক, কচু শাক ইত্যাদি। তবে কেউ যদি এগুলো খেতে চান তাহলে অল্পমাত্রায় খেতে পারেন। যাদের পূর্বে থেকেই এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই শাকসবজি এড়িয়ে চলাই ভালো।

কোন কোন মাছে এলার্জি আছে

চিংড়ি মাছ, পাঙ্গাস মাছ, ইলিশ মাছ, সামুদ্রিক মাছ, বোয়াল মাছ, পুটি মাছ, সিং মাছ ইত্যাদি। যাদের বেশি এলার্জি সমস্যা আছে তারা এই সমস্ত মাছ এড়িয়ে চলবেন। তবে অল্প মাত্রায় এগুলো মাছ খাওয়া যেতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজ আমরা চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমরা আশাবাদী এটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে নিশ্চয়ই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url