দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এ আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। জানতে আগ্রহী হলে পড়ার অনুরোধ রইলো।

দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্র.

দুধ খাওয়ার উপকারিতা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: গাভীর দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও ফাইবার, যা দ্রুত হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দুধ মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।

কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে: নিয়মিত দুধ পান করলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। এবং রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

মহিলার পিরিয়ডের ব্যথা ভালো করে: অনেক সময় মহিলাদের পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা করে। তখন দুধ খাওয়া যেতে পারে। কেননা দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, মিনারেল এবং প্রোটিন। যা পিরিয়ডের সময় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসে।

বুক জ্বালাপোড়া বন্ধ করে: দুধে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা পান করলে বুকের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যায়।

শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে: দুধ মানব দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে দারুন ভূমিকা রাখে। কেননা দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের উৎস। দুধ পেটে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। এজন্য খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। তাই শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় না।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে: দুধ নিয়মিত পান করলে শরীরের নানান উপকার সাধিত হয়। তার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে দারুন কার্যকরী। বিশেষ করে শিশুদের জন্য আরও বেশি উপকারী।

হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করে: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, প্রোটিন সহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। যা মানব দেহের হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করতে সক্ষম। হাড়ের কোন প্রকার সমস্যা থাকলে নিয়মিত দুধ খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: নিয়মিত দুধ পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কেননা দুধে রয়েছে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং রোগ থেকে দ্রুত নিরাময় করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গাভীর দুধ মানুষের শরীরের কোষগুলো সতেজ রাখে। যারা এই রোগে ভুগছেন, তারা নিয়মিত গাভীর দুধ পান করতে পারেন।

মানসিক চাপ কমায়: দুধে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের শক্তি যোগায় এবং মানসিক চাপ কমাতে অনেক কার্যকারী।

দুধের অপকারিতা

এলার্জির সমস্যা থাকলে: পূর্বে থেকে যদি এলার্জির সমস্যা শরীরের থাকে তাহলে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা দুধে এলার্জি রয়েছে

গ্যাস্ট্রিক আলচার থাকলে খাওয়া যাবে না: যাদের গ্যাস্ট্রিক আলচার রয়েছে তারা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই উপাদান খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক বা আলচার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কিডনিতে পাথর হলে খাওয়া যাবে না: কিডনিতে পাথর হলে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দুধ কিডনির পদাহ বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এ সমস্ত রোগীরা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সিজার অথবা পেট অপারেশন হলে: সিজার অথবা পেট অপারেশন হলে দুধ খাওয়া যাবে না। এতে কাটা জায়গা শুকাতে দেরি হবে।

সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা

দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি আরো উপাদান। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস দুধ খেলেও

গরম দুধের উপকারিতা

গরম দুধ খেলে শরীরে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। যাদের শরীরে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগে তারা নিয়মিত গরম দুধ খেতে পারেন। গরম দুধেরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। রাতে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই শিশুর বিকাশে গরম দুধ পান করানো যেতে পারে। এটি শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী।

প্রতিদিন গরুর দুধ খেলে কি হয়

গরুর দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গুনাগুন। নিয়মিত দুধ খেলে শরীরের শক্তি সঞ্চয় হয়। নিম্নে কয়েক টি পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো;

  • হাড় মজবুত ও ক্ষয় রোধ করে
  • দাঁত মজবুত ও ক্ষয় রোধ করে
  • টেনশন দূর করে
  • এলার্জির সমস্যা থাকলে থাকলে
  • পেটে আলচার বা ঘা হলে
  • কিডনির সমস্যা থাকলে

দুধ খেলে কি স্মৃতিশক্তি বাড়ে

হ্যাঁ, দুধ খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ, যা মানব দেহের জন্য এবং বাড়ন্ত শিশুর জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ছোট শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে দারুন উপকারি। তাই প্রতিদিন ছোট শিশুকে অল্প কিছু দুধ খেতে দেওয়া উচিত।

অতিরিক্ত দুধ খেলে কি হয়

লাভের আশায় অতিরিক্ত কোন জিনিস করা ঠিক নয়। ঠিক এক্ষেত্রেও তাই। লাভের আশায় অতিরিক্ত দুধ খাওয়া যাবে না। এতে বিপরীত হতে পারে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফিউচার লাইফ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url